॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ির জেলা সদরের ৫টি ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত ৫৯৬ পরিবারে বিরাজ করছে খুশির জোঁয়ার। অন্যের ঘরে আশ্রিত মানুষগুলো এখন নিজের ঘরে বাস করার সুযোগ পেয়েছেন। ব্যাপারটি তাদের কাছে স্বপ্নের মতো।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত গত কয়েকদিন সরেজমিন ঘুরে উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের বেশ কিছু ঘর পরিদর্শনে গিয়ে কোথাও ঘরে ফাটল কিংবা মেঝের সিমেন্ট উঠে যাওয়ার মতো ঘটনা পরিলক্ষিত হয়নি। সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন খাগড়াছড়ি, কমলছড়ি, গোলাবাড়ি, পেরাছড়া, ভাইবোনছড়া, খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় স্বপ্নের ঠিকানা প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর পাওয়া বিধবা, প্রতিবন্ধী, অসহায় হত-দরিদ্র, গৃহহীন ও ভূমিহীন পাহাড়ি-বাঙালী পরিবারের সদস্যদের মুখে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের হাসি দেখা গেছে। সদর উপজেলার উপকারভোগীদের মধ্যে শশী রঞ্জন চাকমা, কমলছড়ি। মোঃ দুরুল হুদা, পিতাঃ হযরত আলী, ভূয়াছড়ি, ওয়ার্ড নং-৫, কমলছড়ি। মোঃ মনসুর আলী, দাতকুপ্যা, কমলছড়ি, সুজন ত্রিপুরা, স্ত্রীঃ রীনা ত্রিপুরা, মহালছড়া। খাগড়াছড়ি পৌরসভার আমেনা বেগম, স্বামীঃ মোঃ খোকন, শালবন, দয়ানগর। মোঃ আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদপুর, শালবন। চনিতা ত্রিপুরা, ২নং প্রকল্প গ্রাম, ভাইবোনছড়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে পেয়ে প্রত্যেকে তাদের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রধামমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুবই আনন্দিত। আমাদের জন্য ঘরের ব্যাবস্থা করে দেয়ায় আমরা প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা মতিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাসুদুর রহমান, চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাসুদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছি। সদর উপজেলার অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের জন্য ৫৯৬টি গৃহ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চলমান রয়েছে ১৩৬টি ঘর। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নের ঘরগুলোতে কোন অসংগতি চোখে পড়ে নি। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা মতিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে ৫৯৬টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
#
