॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি, জেলা প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সরকারের গণটিকা পেলো বিলাইছড়ির দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নবাসী।
বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ একটি টিম মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাপ্তাই উপজেলার বিদ্যুৎ উৎপাদন এলাকার হেলিপ্যাড হতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে বিলাইছড়ির দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নে যান।
সেখানে গিয়ে বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমার নেতৃত্বে ৩ জন স্বাস্থ্য কর্মী দিনভর বড়থলীতে বসবাসকারী জনগণকে গণটিকার প্রথম ডোজের কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা। এসময় বিভিন্ন এলাকা থেকে গণটিকা দিতে ভীড় করে এলাকার সাধারণ মানুষ।
বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নে আমাদের টার্গেট ৬০০ জন। তবুও আমরা ৭০০ জনের টিকা সেখানে পাঠানো হয়েছে। সকালে কাপ্তাই হতে হেলিকপ্টার যোগে বড়থলিতে পৌছালে সেখানে সরাসরি এসব কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা রশ্মি চাকমা জানান, ফারুয়া ইউনিয়নে গণটিকার প্রথম ডোজ দেয়া হলেও দুর্গমতার কারণে বড়থলি ইউনিয়নে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন, দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নে ৬শ জনকে এই গণটিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। টিকাদান কার্যক্রমের পাশাপাশি বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ হতে চিকিৎসা সেবা এবং ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বিগত ৭ই আগস্ট শনিবার উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ১হাজার ৮০০ জনের টিকা দেওয়ার টার্গেট দেওয়া হলেও ইউনিয়নটি দূর্গম হওয়ায় আবহাওয়া পরিস্থিতি অপ্রতিকূলে থাকায় পৌঁছাতে পারেনি কোন হেলিকপ্টার। তাছাড়া বিলাইছড়ি উপজেলা হতে ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে পায়ে হেঁটে দূর্গম ৪নং বড়থলি ইউনিয়নে যেতে কমপক্ষে লাগবে ৪ দিন। আর সরঞ্জামাদি নিয়ে সড়ক পথে হেটে য়াওয়া সম্ভব নয়। আবার বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার বগালেক হতে পায়ে হেঁটে যেতে লাগে ২ দিনেরও বেশী।
#