॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রোধে চার মাসের কঠোর বিধি নিষেধ লকডাউন কিংবা শাটডাউন তুলে নেয়ার পর রাঙ্গামাটির জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছে। আর শহরে চলাচল করছে গণপরিবহনসহ সব ধনের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হওয়ায় মানুষের চলাচলও স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। তবে এখনো পর্যন্ত শহরের অনেক মানুষকে মাস্ক পড়ার প্রতি পরিপূর্ণ অনহা লক্ষ্যনীয়।
বুধবার (১১ আগষ্ট) সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। সকাল থেকেই ধীরে ধীরে সব ধরনের দোকানপাট শপিংমল খুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ দোকান খুলে ভেতরে পণ্য সাজানোর কাজ করছেন।
আর দীর্ঘ লকডাউন শেষে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। সকালেই অফিস গামী মানুষের ব্যস্ততা দেখা গেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে জনসমাগত ঠেকাতে বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে বহাল আছে। এসব স্থানে মানুষের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা করছে সরকার। একই সঙ্গে জনসমাগত ঠেকাতে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আয়োজনও বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে সব কিছু খুলে দেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, বিধিনিষেধ উঠে গেলেও পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে। আর কঠোর বিধিনিষেধ না থাকলেও মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে। সকল চালক ও যাত্রীকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। গণ পরিবহন, বাজার, অফিস-আদালতসহ সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে কোন প্রকার অবহেলা বা ব্যতয় ঘটলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গন্য হবে। প্রশাসন এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছে।
উল্লেখ্য, কোরবানির ছুটি শেষে ২৩ জুলাই থেকে আবার শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ, যা পরিচিতি পায় ‘শাটডাউন’ নামে। কঠোর এ বিধিনিষেধ শুরুতে ছিল ৫ আগস্ট পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে এটি আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।
#
