বাম্পার ফলনের আশায় ব্যস্ত সময় পার করছে খাগড়াছড়ির আমন চাষীরা

খাগড়াছড়ি

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
কর্মক্ষেত্রে সাধারণ চাকরিজীবীদের ছুটি থাকলেও কৃষকদের কোনো ছুটি নেই, একটার পর একটা কৃষি কাজ লেগেই থাকে। আর সেই কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। আউশ ধান কাটার পরে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন কৃষি আবাদ। শাক-সবজি, গম, ভুট্টাসহ নানা ধরনের চাষাবাদ শেষ হতে না হতেই আবার শুরু হয়ে যায় আমনের আবাদ। তাই আমন লাগানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খাগড়াছড়ির কৃষকেরা।
খাগড়াছড়ি জেলায় এবার আমনের চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ২শত ৮০ হেক্টর। সেই লক্ষ নিয়ে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুরাদমে আমন ধান লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠের পর মাঠ কৃষি শ্রমিকেরা ধান রোপন করে যাচ্ছেন। পুরুষ ও নারী শ্রমিক একই সঙ্গে আমন ধানের চারা রোপন করছে। এদিকে জুন ও জুলাই মাসে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আমন ধানের চারার কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাই এবছর আমন ধানের চারা সংকট দেখা দেবে না বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে প্রচন্ড গরম আর বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা অবধি আমনের জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউবা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল পাড়া কিংবা জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুসঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউবা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন জমিতে।
চারা রোপণের প্রতিটি কাজ ঠিকমতো করে ধান লাগানোর কারণে অনেক খুশি ও শান্তিতে এ জেলার কৃষকরা। কারণ প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। আর বোরোর ভালো ফলন ও ভালো দাম পাবার পর আরো বেশি পরিমাণে আমন চাষে উৎসাহিত হয়ে উঠেছে কৃষকরা। তারা পুর্ণ উদ্যামে কাজ করে চলেছে আমন রোপনে মাঠে ঘাটে।
খাগড়াছড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, এবার খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় উবষি ও হাইব্রিড ২৮হাজার ২শ ৮০হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা বৃষ্টির পানি পেয়ে আমন ধানের চারা লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মর্তুজ আলী জানান, জেলায় এবার আবহাওয়া ভালো রয়েছে। কৃষকেরা পুরো দমে আমন ধানের চারা লাগানোর ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই সেচ দিতে হবে না অতিরিক্ত। ফলে সেচ খরচ কমবে। আর আমরা চাষিদের চারা গুলি লাইন করে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি বোরোর মতই আমনেরও বাম্পার ফলন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
#